কোলকাতায় অর্কিডস্ দ্য ইন্টারন্যাশানাল স্কুলের ‘গো কসমো’ জ্যোতির্বিজ্ঞান মেলায় শিক্ষার্থীরা মহাবিশ্বের রহস্য আবিস্কার করে!

● গো কসমো সফলভাবে ব্যাঙ্গালোর, মুম্বাই, পুনে এবং হায়দ্রাবাদে সম্পূর্ণ হয় যেখানে প্রায় 20,000 শিক্ষার্থী যোগদান করে এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রতি তাদের ভালবাসা প্রদর্শন করে
● অ্যাস্ট্রনোমি ফেয়ারে অ্যালিয়েন এনকাউন্টার, প্লানেটারি পন্ডার, গ্রাভিটেশনাল জিম, কমেট ক্রাফটিং, কসমিক কোলাইডার, ভার্চুয়াল ভয়েজার, স্টেলার স্পেক্ট্যাকেল, স্টার সিকার এবং স্পিনিং স্পেসশিপ ওয়ার্কশপের মতো কার্যকলাপ অন্তর্ভুক্ত 
● অ্যাস্ট্রনমি ফেয়ার-এর লক্ষ্য হচ্ছে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং শিশুদের মধ্যে আকর্ষনীয় মহাকাশ ধারণার গভীরতার উপলব্ধি বৃদ্ধি করা
কোলকাতা, 7ই জুন 2024: অর্কিডস্ দ্য ইন্টারন্যাশানাল স্কুল, একটি প্রিমিয়ার K12 শিক্ষামূলক চেইন, আজ কোলকাতায় একটি শিক্ষার্থী-পরিচালিত জ্যোতির্বিজ্ঞান মেলা, ‘গো কসমো – ইয়োর টিকিট টু স্পেস’ চালু করেছে। স্কুলের এই প্যান-ইন্ডিয়ান উদ্যোগ যা 7ই জুন থেকে 9ই জুন সময়কাল ব্যাপী একটি তিন দিনের ইভেন্ট যা শহরের অর্কিড মধ্যমগ্রাম ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। জ্যোতির্বিজ্ঞান মেলা সমস্ত বয়সের মহাকাশ-বিজ্ঞান উৎসাহীদের পারস্পরিক ক্রিয়াকলাপ, শিক্ষাগত অভিজ্ঞতা এবং শেখার একটি দুর্দান্ত মিশ্রণের সাথে মোহিত হতে ও অনুপ্রাণিত করার প্রতিশ্রুতি দেয়।    

ব্যাঙ্গালোর, মুম্বাই, পুনে এবং হায়দ্রাবাদে দারুণ সাফল্যের পর ‘গো কসমো’ কোলকাতায় আসে, জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রতি তাদের গভীর আগ্রহ প্রদর্শনের জন্য এই ক্যাম্পাসগুলিতে প্রায় 20,000 শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। 

ডঃ অজিত সিং,অর্কিডস দ্য ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ভিপি অ্যাকাডেমিক্স-অ্যাস্ট্রোনমি, গো কসমোর মতো মহাকাশ অনুসন্ধান মেলার  বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেন, “মহাকাশ অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে মানুষের সাহসিকতা এবং আবিষ্কারের চেতনা প্রকাশ পায়। ভারতীয় মহাকাশ প্রযুক্তি উল্লেখযোগ্য গতিপথে এগছে এবং আগামী দশকে এটি 33 বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাঠ্যক্রমের সঙ্গে মহাকাশ শিক্ষাকে একীভূত করে, আমরা শিক্ষার্থীদের কৌতূহলকে অনুপ্রাণিত করার পাশাপশি তাদের কে এই সেক্টরে জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা দিয়ে সজ্জিত করি। গো-কসমের মতো উদ্যোগের মধ্য দিয়ে আমরা ছাত্রদের কে বিস্ময়ের অনুভূতি প্রদান করতে চাই। বেঙ্গালুরু, মুম্বাই, পুনে এবং হায়দ্রাবাদে গো কসমস-এ এত বেশি ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ দেখে আমরা আপ্লুত। মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে তরুণদের উদ্দীপনা এবং কৌতূহল দেখে আমরা গর্বিত।এই জ্যোতির্বিদ্যা মেলা শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়; এটি স্বপ্ন এবং উদ্ভাবনের  লঞ্চপ্যাড যা ভবিষত গঠন করবে। ভারতের ক্রমবর্ধমান মহাকাশ প্রচেষ্টায় অর্থপূর্ণভাবে অবদান রাখার জন্য তরুণ মনকে প্রস্তুত করবে।"

শিক্ষার্থীদের মহাকাশ বিজ্ঞানে উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে, মিস কবিতা চ্যাটার্জী, সিনিয়র ভিপি, একাডেমিক্স, অর্কিডস্ দ্য ইন্টারন্যাশানাল স্কুল, কোলকাতা বলেছেন, “সব বয়সী শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানের প্রতি দৃঢ় উপলব্ধি গড়ে তুলতে সাহায্য করার জন্য গো কসমো আমাদের উৎসর্গের প্রমাণ ইন্ট্যারঅ্যাক্টিভ অ্যাক্টিভিটিস এবং হ্যান্ডস-অন অভিজ্ঞতার মাধ্যমে, আমাদের লক্ষ্য হলো পদার্থবিদ্যা, জ্যোতির্বিজ্ঞান, এবং কসমোলজিতে অংশগ্রহণকারীদের আগ্রহ জাগিয়ে তোলা, যা বিজ্ঞানীদের পরবর্তী প্রজন্মকে তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং অনুসন্ধিৎসা প্রদান করে এবং ভবিষ্যত বিশ্বের মুখোমুখি হয়ে সমস্যার মোকাবিলা করতে শেখাবে”। 

শর্মিলী বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রিন্সিপ্যাল-মধ্যমগ্রাম ক্যাম্পাস, অর্কিডস দ্য ইন্টারন্যাশানাল স্কুল, বলেছেন, “আমরা 5 এবং 6 বছর বাচ্চাদের জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানের সেশন প্রদান করে ছোটোবেলা থেকেই মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রতি বাচ্চাদের আগ্রহ জাগিয়ে তুলি। শিশুরা খেলার সময় শেখার জন্য আমাদের মহাকাশ ল্যাবে ইমারসিভ প্ল্যানেটোরিয়াম অভিজ্ঞতা এবং হাতে-কলমে ক্রিয়াকলাপ পায়। একবার তারা উচ্চ প্রাথমিকে চলে গেলে, প্রায় 5-ম গ্রেড থেকে শুরু করে, স্পেস ক্যাম্পের সাথে বাস্তব জীবনের এক্সপোজার শুরু হয় যা তাদের সম্পূর্ণ নতুন উপায়ে জ্যোতির্বিজ্ঞান অন্বেষন করতে দেয়। এছাড়াও আমাদের কাছে রয়েছে অসাধারণ অ্যাস্ট্রোভার্স ক্লাব অন ডিসকর্ড পাম্পিংআউট বিনোদনমূলক ভিডিও ও নিয়মিত আলোচনা। কিন্তু এটি শুধুমাত্র বাচ্চাদের জন্যই নয় – আমরা প্রতিযোগিতা এবং অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে সারা বছর হাত-কলমে শেখার সুযোগ অফার করি এবং এই দুটোই আমরা নিজেরা হোস্ট করে থাকি। গো কসমো নামক এই বিশাল জ্যোতির্বিজ্ঞান মেলা সত্যিই তরুণদের মনে মহাবিশ্ব সম্পর্কে কৌতুহল এবং বিস্ময় জাগানোর জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতিকে ঘরে তুলেছে। আমরা চাই তারা ছোটবেলা থেকেই তাদের দৈনন্দিন জীবনে জ্যোতির্বিজ্ঞান কতটা প্রাসঙ্গিক তার জন্য গভীর উপলব্ধি গড়ে তুলুক”।

হর্ষ গুপ্তা, ভিপি একাডেমিক্স-স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার, অর্কিডস্ দ্য ইন্ট্যারন্যাশানাল স্কুল বলেছেন, “গো কসমো একটি হাতে-কলমের অভিজ্ঞতা অফার করে যা ট্রাডিশনাল লার্ণিংয়ের সীমা অতিক্রম করে কৌতুহল জাগিয়ে তোলে এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রতি ভালবাসা জাগিয়ে তোলে। আমরা মনে করি যে তরুণ মনকে উপভোগ করার মাধ্যমে এবং শিক্ষামূলক কার্যক্রম দ্বারা আমরা বিজ্ঞানীদের আসন্ন তরঙ্গকে অন্বেষন এবং উদ্ভাবনের জন্য অনুপ্রাণিত করতে পারি যা নিঃসন্দেহে ভারতবর্ষকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ ইন্ডাস্ট্রিতে নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করবে”।  

অর্কিডস্ দ্য ইন্ট্যারন্যাশানাল স্কুল, মধ্যমগ্রাম ক্যাম্পাসের গ্রেড 10-এর ছাত্র অর্জুন দাস, বলেছেন, “জ্যোতির্বিজ্ঞান হলো মহাবিশ্বের ভাষা এবং গো কসমো হলো নাক্ষত্রিক ভাষা বোঝার পথ। গো কসমো আমাদের প্রতি মিনিটে ঘটে চলা ঘটনার বিশদ বুঝতে এবং মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচন করতে সাহায্য করবে”।

 “গো কসমো”-এর অংশগ্রহণকারীরা সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং স্থান-সম্পর্কিত বিষয়গুলি আরো গভীরে বোঝার জন্য উদ্দিষ্ট বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপে নিজেদেরকে জড়িয়ে রাখতে পারে। কমেট ক্রাফটিং, এলিয়েন এনকাউন্টার, প্লানেটরি পন্ডার, গ্রাভিটেশনাল জিম, কসমিক কোলাইডার, ভার্চুয়াল ভয়েজার, স্টেলার স্পেক্ট্যাকেল, স্টার সিকার এবং স্পিনিং স্পেসশিপ ওয়ার্কশপের মতো ক্রিয়াকলাপগুলি ইভেন্টে প্রদর্শিত হবে। প্রতিটি বয়সভিত্তিক গোষ্ঠী এবং আগ্রহ এই কার্যকলাপে পূরণ করা হয়েছে। 

হায়দ্রাবাদের অ্যাস্ট্রোনমি ফেয়ার, গো কসমো অনুষ্ঠিত হবে অর্কিডস্ দ্য ইন্ট্যারন্যাশানাল স্কুলে বাচুপল্লী ক্যাম্পাসে আগামী 31শে মে থেকে 2রা জুন অবধি, বিকাল 4টা থেকে রাত্রি 10টা পর্যন্ত। ইভেন্টের জন্য রেজিস্ট্রেশন এবং বিস্তারিত তথ্যের জন্য https://t.ly/VXcYg দেখুন। 

Popular posts from this blog

ভারতীয় বিশ্বকর্মা সমাজের ত্রিবার্ষিক সাধারণ সভা

Narayana Hospital, Barasat, Saves a Stroke Patient with Successful Rare Heart Tumour Surgery

Tata Motors Inaugurates Advanced Vehicle Scrapping Facility in KolkataThe state-of-the-art facility has an annual capacity to scrap 21,000 end-of-life vehicles