জটিল কার্ডিয়াক কেসে একের পর এক সাফল্য - মণিপাল হসপিটাল ব্রডওয়ের দক্ষতার নজির

খড়গপুর, ২২ নভেম্বর ২০২৫: ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী মণিপাল হসপিটালস গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত মণিপাল হসপিটাল ব্রডওয়ে আজ খড়গপুরে একটি ইন্টার‌্যাকটিভ সেশন আয়োজন করে। এই সেশনের উদ্দেশ্য ছিল উন্নত কার্ডিয়াক চিকিৎসার সাফল্য তুলে ধরা এবং পূর্ব ভারতের মানুষের কাছে বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা। সেশনটি পরিচালনা করেন মণিপাল হসপিটাল ব্রডওয়ের কনসালট্যান্ট কার্ডিয়োলজিস্ট ড. অনিন্দ্য সরকার। তিনি তাঁর দুই রোগীর সঙ্গে উপস্থিত হয়ে তাঁদের জীবনরক্ষাকারী চিকিৎসার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।


মণিপাল হসপিটালস বর্তমানে দেশের ১৯টি শহরে ৩৮টি হসপিটাল নিয়ে কাজ করছে। ১০,৫০০+ শয্যা, ৭,২০০+ চিকিৎসক এবং ৬ কোটিরও বেশি জীবনে স্পর্শ—এই শক্তিশালী পরিকাঠামো পূর্ব ভারতের রোগীদের জন্য আধুনিক কার্ডিয়াক সায়েন্সেস, ২৪x৭ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, আধুনিক ক্যাথ ল্যাব এবং দক্ষ বহুবিষয়ক টিমের সুবিধা নিশ্চিত করে।

সেশনে দুই রোগী জানান কীভাবে জরুরি মুহূর্তে মণিপাল হসপিটাল ব্রডওয়ের সময়মতো চিকিৎসা তাঁদের জীবন বাঁচিয়েছে। তাঁদের বাস্তব অভিজ্ঞতা দেখায়, দ্রুত সিদ্ধান্ত এবং উন্নত কার্ডিয়াক প্রযুক্তি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।


রীতা ভাবানি জানান সেই রাতের কথা, যখন তিনি তীব্র বুকে ব্যথা নিয়ে মণিপাল হসপিটাল ব্রডওয়েতে পৌঁছান। ইসিজিতে বড় হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ দেখা যায়। করোনারি অ্যাঞ্জিওগ্রাফিতে ধরা পড়ে বাম মেইন আর্টারিতে জটিল এবং ভারী ক্যালসিফাইড ব্লকেজ। তাঁর চিকিৎসায় করা হয় রোটাব্লেশন-সহায়ক পিটিসিএ—যা গুরুতর ক্যালসিফাইড ব্লকেজ অপসারণে ব্যবহৃত একটি বিশেষ পদ্ধতি। আজ, প্রায় দুই বছর পর, তিনি স্থিতিশীল ও সুস্থ জীবনযাপন করছেন। তিনি বলেন, “সেদিন সত্যিই মনে হচ্ছিল আর বাঁচব না। সবকিছু খুব দ্রুত ঘটেছিল। ড. সরকার এবং তাঁর টিম শুধু দক্ষই নন, অত্যন্ত সহানুভূতিশীলও ছিলেন। তাঁরা আমার পরিবারকে আশ্বস্ত করেছিলেন এবং আমার জীবন বাঁচিয়েছেন। আমি তাঁদের প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।”

৪৫ বছর বয়সি  মহাকান্ত পাঠক বলেন, “রাতের মধ্যে আমি মণিপাল হসপিটাল ব্রডওয়েতে পৌঁছাই ইনফেরিয়র ওয়াল মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন এবং সম্পূর্ণ হার্ট ব্লকের জটিলতা নিয়ে। আমাকে সঙ্গে সঙ্গেই রাইট করোনারি আর্টারিতে হাই-রিস্ক প্রাইমারি অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন ঘুম থেকে উঠে মনে হয়েছিল যেন আমি নতুন জীবন পেয়েছি। পুরো ডাক্তার টিমের কাছে আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।”

ড. অনিন্দ্য সরকার বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো এই অঞ্চলের মানুষ যাতে দূরে না গিয়ে এখানেই উন্নত কার্ডিয়াক চিকিৎসা পেতে পারেন। মণিপাল হসপিটালসের প্রযুক্তি ও দক্ষতা আমাদেরকে সবচেয়ে জটিল কার্ডিয়াক জরুরি পরিস্থিতিও দ্রুত এবং সফলভাবে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। আজ যে রোগীদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা হলো, তা দেখিয়ে দেয় সময়মতো চিকিৎসা এবং আধুনিক বিজ্ঞান কীভাবে জীবন বাঁচাতে পারে।”

এই সাফল্যের গল্পগুলি আবারও প্রমাণ করে যে মণিপাল হসপিটাল ব্রডওয়ে পূর্ব ভারতের মানুষের জন্য নির্ভরযোগ্য, সহজলভ্য এবং উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উন্নত কার্ডিয়াক চিকিৎসা এখন মানুষের আরও কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে—এটাই মণিপাল হসপিটালসের মূল লক্ষ্য।

Popular posts from this blog

ভারতীয় বিশ্বকর্মা সমাজের ত্রিবার্ষিক সাধারণ সভা

Narayana Hospital, Barasat, Saves a Stroke Patient with Successful Rare Heart Tumour Surgery

Tata Motors Inaugurates Advanced Vehicle Scrapping Facility in KolkataThe state-of-the-art facility has an annual capacity to scrap 21,000 end-of-life vehicles